২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি : খুলনা বরিশাল মহাসড়কে ঝালকাঠি নেছারাবাদ এলাকায় আকলিমা হোসেন ডিগ্রি কলেজের সামনে পিরোজপুর মঠবাড়িয়া থেকে বরিশাল গামী সিজারিয়ান রোগীর সহ একটি এম্বুলেন্স ২২ শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত ২টার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সাথে মেরে দেয়। ঘটনাস্থলে গাড়িটি দুমড়ে মুছে যায়। রোগীসহ একই পরিবারের সাতজন গুরুতর আহত হন। টহল পুলিশ উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে পাঁচজনের অবস্থা অসংখ্য জনক বলে জানিয়েছেন। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেলে রেফার করেছেন।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তেল সংকটের কারণে প্রায় দুই মাস পর্যন্ত এম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রয়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে আহত রোগীরা বরিশাল থেকে ফোন দিয়ে এম্বুলেন্স এনে তাদেরকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন বেপরোয়া গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এম্বুলেন্সটির দুর্ঘটনা শিকার হয়।
আহতরা হলেন রাসেল মিয়া (২৬)পিতা নূর হোসেন
জামাল হোসেন মৃধা ( ৩৫) পিতা রুহুল আমিন
নিজাম মৃধা (২৮) পিতা রুহুল আমিন
মাসুম মৃধা (২৫)পিতা রুহুল আমিন রোজীনা( ২৩)স্বামী নিজাম মৃধা,(২৬) আসমা জামাল হাওলাদার হালিমা (৪৫) স্বামী মন্ঠু হাওলাদার।
আহতরা মঠবাড়িয়া এলাকার দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এম্বুলেন্স চালক পলাতক রয়েছেন।
এম্বুলেন্স গাড়ির নম্বর চট্ট মেট্রো চ ১১-১৪৫৭
আহত জামাল মৃধার বোন তানজিলা বলেন খবর পেয়ে আমরা বরিশাল মেডিকেলে ছুটে এসেছি ।আমার ভাবির সিজারিয়ানের মাধ্যমে ছেলে সন্তান হয়েছে।
শিশু ছেলে আমাদের বাড়িতে রয়েছে শিশুটি এখন সুস্থ আছে।
ভাবি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকরা বরিশালের রেফার করেন। পথিমধ্যে ঝালকাঠিতে এম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে মেরে দেয়। আমার পরিবারের এম্বুলেন্সে থাকা সবাই গুরুতর আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার এ এস আই গনেশ বলেন আমরা গাড়ির পিছনে ছিলাম। হঠাৎ করে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রং সাইটে গাছের সাথে ধাক্কা দেয় । গাড়িটি দুমড়ে মরে যায় এবং ড্রাইভার পালিয়ে যায়।
আমরা আহতদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছি। পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাতজনকে বরিশালের রেফার করা হয়। এম্বুলেন্সটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।